Carmichael College At a Glance
ক্রমিক | বিবেচ্য বিষয় | বিস্তারিত তথ্য |
---|---|---|
০১. | শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম : | কারমাইকেল কলেজ রংপুর |
০২. | সংক্ষিপ্ত বর্ণনা : |
বাংলাদেশের যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় অবদান রেখে চলেছে, কারমাইকেল কলেজ তার মধ্যে অন্যতম । ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে রংপুর শহর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে শহরের কোলাহলমুক্ত সবুজ বৃক্ষরাজি শোভিত লালবাগ এলাকায় ৯ শত বিঘা জমির উপর এক নৈসর্গিক পরিবেশে কলেজের ভিত্তি স্থাপিত হয় । প্রতিষ্ঠার দিক থেকে কারমাইকেল কলেজের জন্ম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরও আগে। ঐতিহাসিকভাবে রংপুর জেলা বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। বাংলার ব্রিটিশ-বিরোধী ও পাকিস্তান-বিরোধী আন্দোলন এর আকরভূমি হলো রংপুর। ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহ, রংপুর বিদ্রোহ(১৭৮৩ খ্রি), ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহ, ৫২র ভাষা আন্দোলন , ৬২র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৯র গণঅভ্যুত্থান সর্বোপরি’ ৭১র মহান মুক্তিযুদ্ধে রংপুরবাসীর সক্রিয় ও স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহ ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত। তাছাড়া বাংলার নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার স্মৃতি বিজড়িত জন্মস্থান এবং দেশের ঐতিহ্যমন্ডিত ভাওয়াইয়া গানের পাদপীঠ হলো রংপুর। এমন চেতনাসমৃদ্ধ অঞ্চলে কারমাইকেল কলেজের প্রতিষ্ঠা নিঃসন্দেহে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। কলেজ প্রতিষ্ঠার পর ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে এটি ছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে। ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে প্রথম আই.এ. ও বি.এ ক্লাস খোলার অনুমতি দেয়। ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে বাংলার গভর্নর লর্ড লিটন কলেজ পরিদর্শনে এসে কলেজের সৌন্দর্য এবং শিক্ষার উন্নত পরিবেশ দেখে মুগ্ধ হয়ে এখানে আই.এস.সি ক্লাস খোলার অনুমতি দেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে এ কলেজে বাংলা, সংস্কৃত, আরবি, ফার্সী, ইংরেজি, ইতিহাস, দর্শন, রাস্ট্রবিজ্ঞান,অর্থনীতি, মানবিক ও নৈতিক দর্শন, গণিতসহ বেশ কিছু বিষয়ে অনার্স কোর্স খোলার অনুমতি দেয়। ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে কলেজে বি.এস.সি কোর্স চালু হয়। কলেজটি ১৯১৭-১৯৪৭ পর্যন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, ১৯৪৭ হতে ১৯৫২ পর্যন্ত ঢাকা এবং ১৯৫৩ হতে ১৯৯২ পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ছিল। বর্তমানে এটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত । বর্তমানে কলেজে ১৭ টি বিষয়ে অনার্স কোর্স এবং ১৫ টি বিষয়ে স্নাতকোত্তর কোর্স চালু আছে। ২০১১-২০১২ শিক্ষাবর্ষ হতে ১৪ বছর পর পুনরায় উচ্চমাধ্যমিক কোর্স চালু হয়। |
০৩. | প্রতিষ্ঠাকাল: | ১০ নভেম্বর ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দ |
০৪. | ইতিহাস: |
ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে এলাকার স্থানীয় বিশেষ করে হিন্দু জমিদারদের প্রচেষ্টায় জেলায় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক জীবন বিকশিত হয়েছিল।রংপুরে ইংরেজি শিক্ষার সূচনা হিসাবে কুন্ডির জমিদার রাজমোহন রায় চৌধুরীর প্রচেষ্টায় ১৮৩২ খ্রিস্টাব্দে ‘রংপুর জমিদারস’ স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। ভারতের তৎকালীন গভর্নর জেনারেল লর্ড উইলিয়াম বেন্টিং এ স্কুলের উদ্বোধন করেন। ১৮৬২ খ্রিস্টাব্দে এটি সরকারী রংপুর জেলা স্কুলে পরিণত হয়। এছাড়া স্থানীয় জমিদারদের উদ্যোগে আরও বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে। এরমধ্যে ১৮৬৮ খ্রিস্টাব্দে উলিপুর ‘রাণী স্বর্ণময়ী হাইস্কুল’ ১৮৬৫-১৮৭০ খ্রিস্টাব্দের ‘তুষভান্ডার এম.ই.স্কুল’, ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে ‘গোবিন্দলাল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট’, ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দে ‘বালিকা বিদ্যালয়’,১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দে ‘তাজহাট হাইস্কুল’ এবং ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে ‘কাকিনা হাইস্কুল’ অন্যতম। তখন রংপুরে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বলতে কেবল হাই স্কুলকে বুঝাতো। অথচ হাই স্কুলের সংখ্যাও ছিল মাত্র ৮ টি। রংপুরে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব অনুধাবন করে ১৮৭৭ খ্রিস্টাব্দের ১ জানুয়ারি রংপুর জেলা স্কুলে ৯ ছাত্র নিয়ে কলেজ সেকশন খোলা হয়। কিন্তু ছাত্র- ছাত্রীর অভাবে ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দে এটি বন্ধ হয়ে যায়। পরে কুন্ডির জমিদার মৃত্যুঞ্জয় রায় চৌধুরী রংপুরে একটি কলেজ স্হাপনের জন্য ১২৫ বিঘা জমি দান করেন। তবে সরকারের অনুমোদন না পাওয়ায় কলেজ প্রতিষ্ঠা হয়নি। ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার গর্ভনর লর্ড কারমাইকেল তাঁর সম্মানে আয়োজিত রংপুরের এক নাগরিক সম্বর্ধনা সভায় এখানে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে রংপুরবাসীর প্রস্তাবে সম্মতি জ্ঞাপন করেন। অতঃপর ১৯১৩-১৪ খ্রিস্টাব্দে এ লক্ষ্যে একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করে পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নের জন্য তৎকালীন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জ়ে এন গুপ্তকে সভাপতি করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা ছিলেন তাজহাটের জমিদার গোপাল লাল রায়, কুন্ডির জমিদার সুরেন্দ্র চন্দ্র রায় চৌধুরী,টেপার জমিদার অন্নদা মোহন রায় চৌধুরী বাহাদুর। এরপর শুরু হয় অর্থ, জমি সংগ্রহের কাজ। জেলার অনেক জমিদার ও বিত্তবান ব্যক্তি অর্থ ও জমি দান করে কলেজ প্রতিষ্ঠার কাজকে সহজ করেন। এছাড়া এলাকার অনেকেই ব্যত্তিগতভাবে চাঁদা প্রদান করেন। এভাবে স্হানীয় জমিদার ও জনসাধারণের কাছ থেকে প্রায় ৭.৫০ লক্ষ(সাড়ে সাত লক্ষ) টাকা চাঁদা আদায় হয়। কলেজ মিলনায়তনের উৎকীর্ণ একটি ফলকে চাঁদা প্রদানকারী বিত্তবান ব্যক্তিদের তালিকা রয়েছে । শিক্ষার প্রতি রংপুরবাসীর এরকম আগ্রহ , উৎসাহ ও ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে, তৎকালীন পূর্ব বাংলার গভর্নর লর্ড টমাস ব্যারোন কারমাইকেল ১০ নভেম্বর, ১৯১৬ খ্রি এ কলেজের ভিত্তি স্হাপন করেন। তাঁর নামেই কলেজটি নামকরণ হয় কারমাইকেল কলেজ। শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয় জুলাই, ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে। কলেজর ভবন তৈরি না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস শুরু হয় রংপুর জেলা বোর্ড অফিসে। এরপর পর্যায়ক্রমে কলেজটির বিভিন্ন ভবন নির্মান কাজ শুরু হয়। ১২ ফেব্রুয়ারী, ১৯১৮ তারিখে বাংলার নব নিযুক্ত গভর্নর আর্ল অব রোনাল্ডসে কারমাইকেল কলেজের মূল ভবন উদ্বোধন করেন। ‘অক্সফোর্ড ভিলজের’ আদলে ইন্দোস্যারাসনিক স্হাপত্যে নির্মিত হয় মূলভবন। কলেজটি সরকারিকরণ হয় ১ জানুয়ারি ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দে কলেজের দ্বিতীয় ভবন(১৯৬৩-৬৪), তৃতীয় ভবন(১৯৬৭) খ্রিস্টাব্দে নির্মিত হয়। এরপর স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে শহীদ মিনার(১৯৭২-৭৩), রসায়ন ভবন(১৯৭৭) নির্মিত হয়। নতুন একাডেমিক ভবন নির্মিত হয় ২০০৪-২০০৫ খ্রিস্টাব্দে। ২০১০ সালে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কার্য ‘প্রজম্ম’ নির্মিত হয়। ছাত্রদের জন্য ৩টি এবং ছাত্রীদের জন্য ৩টি করে মোট ৬টি আবাসিক হোস্টেলের ব্যবস্থা আছে। এছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য ছাত্র বিশ্রামাগার, ছাত্রী বিশ্রামাগার, কলেজ ক্যান্টিন, কলেজ জামে মসজিদ, কলেজ মন্দির, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, সাইবার ক্যাফে,আইসিটি সেন্টার ইত্যাদির সুযোগ সুবিধা রয়েছে। |
০৫. | মোট ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা (শ্রেণীভিত্তিক) : | একাদশ শ্রেণী (বিজ্ঞান শাখা= ৩০০ জন, মানবিক শাখা= ৩০০ জন, ব্যবসায় শিক্ষা শাখা= ৩০০ জন) প্রথম বর্ষ (সম্মান) = ৩২৩০ জন, মাস্টার্স ১ম পর্ব= ৬০০০ জন (নিয়মিত +প্রাইভেট) জন মাস্টার্স শেষ পর্ব = ৬০০০ জন (নিয়মিত + প্রাইভেট) |
০৬. | পাশের হার: | অনার্স ৯৬.৪%, মাস্টার্স ৯২.৬% |
০৭. | শিক্ষা বৃত্তির তথ্য: | ১। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড বৃত্তি। ২। সেনা কল্যাণ সংস্থার শিক্ষামূলক বৃত্তি । ৩। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর , বাংলাদেশ , ঢাকা কর্তৃক অন্ধ বৃত্তি ( ডিগ্রি/ সম্মান)। ৪। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর , বাংলাদেশ , ঢাকা কর্তৃক হিন্দু তফসিলী উপবৃত্তি। ৫। পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে বিজন চন্দ্র সাহা স্মৃতি বৃত্তি। ৬। পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে সিদ্দিকা বেগম বৃত্তি। |
০৮. | অর্জন: |
কলেজ প্রতিষ্ঠার পর থেকে কলেজের শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ, শিক্ষকদের নিরবচ্ছিন্ন পাঠদান, শিক্ষার্থীদের কৃতিত, কলেজ উন্নয়নে বিভিন্ন অধ্যক্ষ মহোদয়ের উদ্যোগ ও সহযোগিতা কারমাইকেল কলেজকে স্থানীয় ও জাতীয়ভাবে গৌরব অর্জনে সাহায্য করেছে। ১৯৮৯ ও ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে কারমাইকেল কলেজ রাজশাহী বিভাগের শ্রেষ্ঠ কলেজ হিসাবে পুরস্কৃত হয়। বনায়নের জন্য কলেজটি জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কৃত হয় ১৯৯৩ খ্রীস্টাব্দে। ২০০৪ খ্রীস্টাব্দে শিক্ষা মন্ত্রনালয় কারমাইকেল কলেজকে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন করেন। সে সাথে কলেজের শিক্ষকবৃন্দেরও গৌরবময় অর্জন রয়েছে। জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে প্রফেসর মোঃ ইসহাক জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের মর্যাদা অর্জন করেন। ১৯৯৯ সালে রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহঃ নুরুন-নবী চৌধুরী রংপুর জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হন। ২০০০ খ্রিস্টাব্দে বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহম্মদ আলীম উদ্দীন লাভ করেন শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের মর্যাদা। গনিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খাইরুল আলম ডাকুয়া ২০০১ খ্রিস্টাব্দে রংপুর জেলা ও জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের সন্মান অর্জন করেন। অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আব্দুল হাই চৌধুরী ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে এবং অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ মোজাম্মেল হক ২০০১ খ্রিস্টাব্দে রংপুর জেলার কলেজ পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের স্বীকৃতি লাভ করেন। এ কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা বাংলাদেশ টেলিভিশনে জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় কৃতিতের স্বাক্ষর রেখে চলছে। ছাত্র-ছাত্রীদের মেধা ও মননের বিকাশের জন্য প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষা, খেলাধূলা, সংস্কৃতিচর্চা, বিতর্ক অনুশীলন ও প্রতিযোগিতায়, নাট্যচর্চা প্রভৃতি নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কলেজের সামগ্রিক শিক্ষার পাশাপাশি পরীক্ষা ব্যবস্থা সব সময়ই সর্বমহলে প্রশংসিত হয়ে আসছে। এ কলেজ প্রতিষ্ঠার কাল থেকে সময়ের পরিক্রমায় এর পরিধি বিস্তৃত হয়েছে বহুগুন। আই. এ কলেজ হিসাবে যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে ১৭ টি বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে প্রায় ১৭ হাজার শিক্ষার্থী এ প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত। কলেজের শিক্ষার্থীগণ ইতিমধ্যে মেধা ও নৈতিক গুনাগুন বিকাশের মাধ্যমে কলেজ ও এলাকার সুনাম বহু গুনে বৃদ্ধি করেছেন। কলেজের প্রতিষ্ঠালগ্নে শুধু রংপুর অঞ্চলেই নয় সুদূর আসাম, জলপাইগুড়ি, বিহার, বগুড়া, দিনাজপুরসহ বিভিন্ন এলাকার শিক্ষার্থীরা এখানে আসতো। এমনিভাবে ব্রিটিশ আমল থেকে কলেজের সুনাম ও খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল। তার সূত্র ধরেই কলেজটি বর্তমানে এতদাঞ্চলে একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এ আনন্দ ও গর্ব ধরে রাখার দায়িত্ব আমাদের সকলের। এ কলেজের ঐতিহ্য রক্ষার্থে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ আমাদের সকলকে একযোগে কলেজের শিক্ষার পরিবেশ ও উন্নয়নের সহযাত্রী হিসাবে কাজ করতে হবে। |
০৯. | ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা: |
শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের অধীন একটি অডিটোরিয়াম এবং কলেজের পশ্চিম দিকে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীর জন্য একটি বহুতল বিশিষ্ট ভবন নির্মাণের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। অডিটরিয়ামটির ২য় ও ৩য় তলায় ১৪০০ আসন এবং নিচতলায় একটি আধুনিক মানসম্মত লাইব্রেরী করার পরিকল্পনা আছে। বর্তমান অধ্যক্ষ মহোদয়ের তত্ত্বাবধানে শহীদ মিনারের চারদিকে আমাদের ভাষা এবং সংস্কৃতির চিহ্ন সম্বলিত প্রাচীর , বেগম রোকেয়া ও শহীদ জননী জাহানারা ইমাম ছাত্রীনিবাসে মূর্যাল নির্মাণ এবং মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কার্য এর অবশিষ্ট কাজ চলছে। শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের অধীন ৮০০ মিটার সীমানা প্রাচীরের কাজ কলেজের পশ্চিম পাশে খুব শীঘ্রই শুরু হবে। |
১০. | যোগাযোগ ( ই-মেইল এড্রেসসহ): |
|